চৌকাঠ

উত্তর-কলকাতা' কথাটা, মফস্বলি বাসস্ট্যান্ডের গুমটি পানের দোকানের মত। কেউ কোত্থাও নেই, রেডিওতে হিন্দি গান আর পাল্লা দিয়ে আশুদ্ পাতায় মনকেমন করা ঝিরিঝিরি শব্দ। সবার অলক্ষ্যেই, বাসস্ট্যান্ডের হাওয়ায় অর্বাচীনের মতো জট পাকিয়ে যায় দোক্তা, জর্দা আর পানমশলার গন্ধগুলো। দোকানের সামনে দাঁড়ালেই, ঢুলুঢুলু দোকানি একগাল হেসে মন ভালো করে দেয়! চেনা খদ্দেরের চেনা চাহিদা; চাইতেই হয় না। উত্তর-কলকাতাও ঠিক তেমনি। চাইতে হয় না। ঠিক যখন যেমন দরকার, রোদ্দুর তিরপল দেশলাই মাদুর ক্যালেন্ডার খুচরো.. চাহিদার ঝোপে হাতের কাছে আরশিনগর! এই মহাবিশ্বের জীবনকালের তুলনায় মনুষ্যজীবন নিতান্তই লিলিপুট। তাও মায়া, মনকেমন আর মান অভিমানের খেলা। স্কটিশ ইস্কুলে পড়তে একজন স্যার বলেছিলেন, আমরা কেউই বড় হয়ে যাইনি; বড় হচ্ছি। কচি ডাঁটো ডাগর বুড়ো সবাই; সব্বাই বড় হচ্ছি। উত্তর-কলকাতাও বড় হচ্ছে, বড় হবে। রোজ; কখনও আমাদের নিয়ে, কখনও ছাড়াই।