Posts

লং ড্রাইভ

Image
সার সার গাছ মাথা তুলে রয়েছে আকাশে। আলো পেতে হবে বলে প্রতিযোগিতা আছে, কিন্তু কেউ কাউকে ছাপিয়ে যাওয়ার উচ্ছ্বাস নেই। বেশিরভাগ সময় রাস্তার এক ধারে আটলান্টিক মহাসাগরের কালচে নীল জল। বহুদূরে আলোর বিন্দু; সম্ভবত আয়ারল্যান্ডের ক্রুজ। পাহাড়ের আঁকাবাঁকা পথে সন্ধ্যে হবো হবো। ঝিঁঝিঁ ডাকছে এক নাগাড়ে, কিম্বা অন্য কিছু। গাড়ির কাঁচ তুলতে ইচ্ছে করে না। এলোপাথারি হাওয়া ছুটে এসে নীলাঞ্জনকে কুঁকড়ে দিচ্ছে। চালকের পাশের সীটে নীলাঞ্জন চোখ বুজে হাওয়া খাচ্ছে। সে চশমা খুলে চোখ বন্ধ করে বাইরে মুখ করে আছে। পকেট থেকে ফ্লেভার্ড একটা সিগারেট বের করে সে ঠোঁটে চেপে ধরল। মৃণালিনী এতক্ষণ চুপ করে গাড়ি চালাচ্ছিল। এইবার সে আড়চোখে বিরক্ত হয়ে তাকাল। সে যে বেশিদিন স্টিয়ারিং ধরেনি, সেটা তাকে দেখেই বোঝা যাচ্ছে। তাও গাড়ি চলছে নিখুঁত। পাহাড়ের রাস্তার দুপাশের দৃশ্য, মেয়েমানুষের মত ক্ষণে ক্ষণে পরিবর্তন হচ্ছে। কখনো রুক্ষ আবার কখনও সবুজ! নীলাঞ্জন কোনো দিকে না তাকিয়ে, সীটটা এলিয়ে দিয়ে, চোখ বন্ধ করে কাত হয়ে শুয়ে আছে। শুয়ে শুয়ে কত কী মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। ওরা ছোটবেলায় থাকত উত্তর কলকাতার একখানা পুরোনো বাড়িতে। জয়েন্ট ক্লিয়ার করে এমবি

My letter to The Chief Minister of West Bengal

Image
To Smt. Mamata Banerjee Honourable Chief Minister of West Bengal Nabanna (14th floor) 325, Sarat Chatterjee Road Shibpur, Howrah, West Bengal - 711102 Respected Ma'am, With due respect ma'am, I'm trying to explain one of the most underrated but a chronic problem that we are suffering since decades. I'm sure there must be a million people across the state, who are suffering from the same. Throughout the year, local clubs (political and apolitical both) organises roughly five blood donation camps, five to ten cultural events, five major religious festivals, at least five nationally important days, and innumerable political meetings during election and most importantly, we have to tolerate tremendous noise from mic in those occasions! I live in one of the typical narrow lanes of central part of Kolkata and at least three mics are installed just in front of our window for each and every mentioned occasions! I don't think that the problem is limited
Image
সবচেয়ে সব্বোনেশে কান্ড হচ্চে গেম পিরিয়ডে বৃষ্টি! হপ্তায় একদিন মাঠ কাঁপিয়ে ফুটবল খেলার স্বপ্ন সব্বার। ডাকসাইটে ভালো প্লেয়ার সব সেকশানেই থাকে। তাদের পা ছাড়িয়ে পায়ে বল পাওয়ার সম্ভাবনাও অলমোস্ট নেগেটিভ; তবে ফুটবল ফুটবল আটমেজটা হলেই বিকেলটা দিব্বি মাখোমাখো আর ফুরফুরে মেজাজ! আধঘন্টাটাক্ নিয়ম-ফিয়ম চুলোয় পাঠিয়ে, ফিফা-চমকানো নিয়ম বানিয়ে কাদা জল মেখে ক্লাসের তিরিশ বত্তিরিশ জন সবাই মেসি! আমি চিরকালই সেকেন্ড-থার্ড বেঞ্চে বসা ছাত্র। পড়াশোনা করতেই ভাল্লাগত; তবে প্রেয়ার হলের মাথার কালো মেঘ কেন জানি না, ডজ করে ব্ল্যাকবোর্ডের পা থেকে মন চুরি করে ফেলত অনায়াসেই! তারপর মুখপোড়া কাক বিশ্রী চেঁচিয়ে তাল কাটতেই নজর যেত, ব্ল্যাকবোর্ড অন্য রূপ ধারণ করেছে! স্যারকে জিজ্ঞেস করলেই আবার খিল্লি টোন টিটকিরি.. তারপর আবার কোচিঙের মেয়েদের সামনেই চাটন খাওয়ার চান্স! সদ্য টেস্টোস্টেরোন ফুটে রেসের ঘোড়া তখন! রিস্ক কে নেয়! ধুস্! বয়েজ ইস্কুলের ছেলেদের নারীসঙ্গ শুধু নেই নয়, ভবিষ্যতে হওয়ার চান্সও নেই। তবুও কোচিং পড়ার সুবাদে টুকটাক ওড়নার ওড়াউড়ি, বিনুনির দুলুনি আর লেডিবার্ড সাইকেলের ক্রিং ক্রিং! বিকেল হলেই শান্ত অলিগলিতে ত
Image
শৈশবে, সত্যজিৎ একখানা খাতা করেছিলেন। সই জমানোই ছিল সেই খাতার উদ্দেশ্য। প্রথম সইটা রবিবাবুর হওয়া বাঞ্ছনীয় বলে মনে হয় তাঁর। মায়ের সঙ্গে মানিক অর্থাৎ আমাদের শিশু সত্যজিৎ পৌঁছলেন শান্তিনিকেতনে রবিঠাকুরের কাছে। গুরুদেব ব্যস্ত ছিলেন তখন। বললেন, খাতাটা রেখে যেতে। পরদিন যেতেই, এই লেখা সমেত খাতা ফেরত এল। লেখার নীচের তারিখে, বাংলা সালটা তেরোশো ছত্রিশ অর্থাৎ ইংরাজি উনিশশো উনত্রিশ সাল। অর্থাৎ রবিবাবুর নোবেল পাওয়ার ঠিক ষোলো বছর পর। তখন সত্যজিতের বয়স মাত্র আট!

উত্তম মাধ্যম

Image
- "অন্তত আরেকবার বলুন!" - "কী বলব?" - "এইতো.. মানে যা বললেন" - "কেন হে ছোকরা! এককথা বারবার বকিয়ে বিকেলটা মাটি করার তাল করেছো নাকি?" - "না তা নয়.. তবে আরেকবার যদি বলেন!" - "কেন রিপিট করব, জানতে পারি?" - "আমার ঠিক বিশ্বাস হচ্চে না যে!" - "সেটা তোমার ফল্ট!" - "তাই তো তাই" - "আহ্! তুমি একটা সহজ কথা আশি'বার বলিয়ে ছাড়বে দেখছি!" - " ... " - "ভীড় বাসে, একা ছাদে, ব্রেকআপে, হিউমার ডেফিসিয়েন্সিতে.. যখনই বিপদে পড়িবে, আমায় স্মরণ করিবে। আমি রক্ষা করিব।" - "আর পরীক্ষায় ফেল করলে?" - "পড়লে ফেল করবে কেন!" - "প্রেমে পড়লে?" - "ফেল করার পসিবিলিটি? নো। নেভার!" - "অভয় দিচ্চেন!" - "কেন? ন্যাকা! তুমি জানো না? এক্সপিরিয়েন্স নেই বলছ?" - "না মানে.." - "দক্ষিণাপনে, ঠিক সাড়ে তিন বছর আগে, আমার ডায়লগ ঝেঁপে মেয়েটিকে ম্যানেজ করার চেষ্টা চালাচ্ছিলে

আকণ্ঠ লড়াইয়ের নেশা

Image
জীবনের প্রতিটি দিনই হাজির হয় পরীক্ষা। সে পরীক্ষার বিষয় আলাদা। সিলেবাস, গুরুত্ব, প্রশ্নপত্র সবই আলাদা। সেসব পরীক্ষায় বসতে হয় সক্কলকেই। স্বাভাবিক নিয়মেই, কেউ পাস করেন আর কেউ করেন না। যাঁরা ফেল করেন, তাদের মধ্যে বেশির ভাগই হাল ছেড়ে দিয়ে হাত পা গুটিয়ে বসে থাকেন। আর বাকিরা চালিয়ে যান চেষ্টা। কষ্ট হয়, হেরে যেতেও ইচ্ছে হয় কখনো কখনো। সেই নিজেরই বিরুদ্ধে লড়ে উঠে দাঁড়াতে হয় আবার। তবেই তো দেখা দেয় ভোরের সূর্য। এই সিনেমার গল্প শুধু স্ট্রাগলের নয়। গল্পটা শুধু বেঁচে থাকারও নয়। গল্পটা বাঁচতে চাওয়ার। বাঁচার ইচ্ছের। সব মিলিয়ে লড়াইয়ের নেশাতেই শেষ হয়ে যায় শুরু থেকে সবটা। "স্মোকিং কিল্স্" কথাটার বেশ মিষ্টি প্রজেক্শান দিয়ে সিনেমার শুরু। ল্যারিঙ্গোক্টমির পর যাঁরা হারিয়ে ফেললেন নিজের স্বরযন্ত্র, যাঁরা ইসোফেজিয়াল ভয়েস ব্যবহার করে 'বিকৃত স্বর' নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করেছেন, করছেন বা ভবিষ্যতেও করবেন বা করতে করতে ডিপ্রেশানে চলে যাবেন, যাঁরা চোখের জল ফেলে বন্ধ করবেন জানলা দরজা, এই ছবি তাদের পিঠ চাপড়ে টেনে তুলবে বারবার।  পরিচালক নন্দিতা-শিবপ্রসাদের কাজ কমিয়ে দিয়েছেন অভিনেতা শিবপ্রসাদ। তবে

চৌকাঠ

Image
উত্তর-কলকাতা' কথাটা, মফস্বলি বাসস্ট্যান্ডের গুমটি পানের দোকানের মত। কেউ কোত্থাও নেই, রেডিওতে হিন্দি গান আর পাল্লা দিয়ে আশুদ্ পাতায় মনকেমন করা ঝিরিঝিরি শব্দ। সবার অলক্ষ্যেই, বাসস্ট্যান্ডের হাওয়ায় অর্বাচীনের মতো জট পাকিয়ে যায় দোক্তা, জর্দা আর পানমশলার গন্ধগুলো। দোকানের সামনে দাঁড়ালেই, ঢুলুঢুলু দোকানি একগাল হেসে মন ভালো করে দেয়! চেনা খদ্দেরের চেনা চাহিদা; চাইতেই হয় না। উত্তর-কলকাতাও ঠিক তেমনি। চাইতে হয় না। ঠিক যখন যেমন দরকার, রোদ্দুর তিরপল দেশলাই মাদুর ক্যালেন্ডার খুচরো.. চাহিদার ঝোপে হাতের কাছে আরশিনগর! এই মহাবিশ্বের জীবনকালের তুলনায় মনুষ্যজীবন নিতান্তই লিলিপুট। তাও মায়া, মনকেমন আর মান অভিমানের খেলা। স্কটিশ ইস্কুলে পড়তে একজন স্যার বলেছিলেন, আমরা কেউই বড় হয়ে যাইনি; বড় হচ্ছি। কচি ডাঁটো ডাগর বুড়ো সবাই; সব্বাই বড় হচ্ছি। উত্তর-কলকাতাও বড় হচ্ছে, বড় হবে। রোজ; কখনও আমাদের নিয়ে, কখনও ছাড়াই।