অসমাপিকা

প্রেম এসেছিল কি না বলা মুশকিল। কিন্তু নারীসঙ্গ অন্তত একবার হলেও এসেছিল আমাদের তিনজনেরই জীবনে। তাই রাগ, অভিমান, প্রেম, প্রতিহিংসা প্রভৃতি সবরকম অভিব্যক্তির মেয়েলি রূপই আমাদের স্পর্শেন্দ্রিয়ের পরিচিত। বাকী দুজনের কথা জানি না, তবে যে আমার চোখ হাত বেঁধে, হিড়হিড় করে টেনে নিয়ে চলছিল, তাকে বিশ্বাসের কোনও প্রশ্নই ওঠে না বটে, তবে দুম করে অবিশ্বাস করাও যায় না। চোখ আর হাত বাঁধা অবস্থাতেই ওরা আমাদের টেনে তুলতে লাগল সিঁড়ি বেয়ে। আমরা তো কারুর কোনও ক্ষতি করিনি, তবে কেন এরকম দুর্ভোগ! সিঁড়ি শেষ হতেই, বিরাট একটা দরজা খোলার শব্দ হল। হাঁটাচলা অস্বাভাবিক হলেও মস্তিস্ক হয়ে উঠছিল প্রচন্ড সজাগ। প্রাণভয় আর উত্তেজনায় গা ভরে ইন্দ্রিয়েরা সজাগ হয়ে উঠেছিল। এই বেড়ানোর পরিকল্পনাটা আমারই। পকেটে পয়সাও ছিল না বিশেষ। সঙ্গে যে দুজন ছিল, খানিকটা তাদের কাঁধে বন্দুক রেখেই লখ্নৌ বেড়ানোর সাধপূরণ। দুজনেই প্রতিষ্ঠিত। ছুটিছাটা পেলেই একজন ক্যামেরা নিয়ে বেরোয়। আর একজন মেজাজ ঠিক থাকলে, অনায়াসেই লিখতে পারে মসৃণ চন্দনবাটার মত ঝকঝকে কবিতা। আমার পা টলছে অসম্ভব রকম। মনে পড়ছে, আমার ফোনটা বেশীদিন হয়নি এখনও। সেটা ফেলে আসতে...