অন্ধকার এবং

অবশেষে গোধূলি মুর্ছা যায় ঈষত্ পূর্বে। গবাদিরা ফিরে যায় পরিচিত জাবনার দিকে। সন্ধ্যার অস্থির শৃঙ্গার ছড়ায় পশ্চিমে; ভীমপলাশীর কাছে। খেজুর আর বাঁশবন ঢাকা পড়ে নিকষ চিকুরে। শখ ক'রে জুঁইফুল সাজে, দল বেঁধে মিথ্যুক জোনাকী। ঘরছাড়া কাবুলী যখন ঘুমিয়ে পড়ে জাফরানের ঝুলিতে মাথা রেখে, তখন রাত্রিই দু'হাতে খুলে দেয় কাঁচুলী। ক্লান্ত অমাবস্যা মুখ রাখে পূর্ণিমার উরোজে। নাভীতে, একলা ধ্রুবতারা প্রতিনিধি; ক্রন্দসীর। পৃথুল শ্রোণি থেকে নৈঋতে ওড়ে, জং ধরা একাকিনী উলুক। গ্রহদোষে নদীরা ভিটেছাড়া। অথচ পরিপাটি আদরে জড়িয়ে ধরে নিশীথের কোমর। তারিখের বাতায়নে, চোখ খোলে রক্তিম পঙ্কজ। তারই কোলের ওমে, মৌলোভী এখন মৃত। বিবস্ত্র তমসার যোনী লাজুক, রৌদ্রের সংস্রবে। কুয়াশায় আশাবাদী আশাহত নাঙ্গল। ক্ষুধাশৃঙ্খলে আহুতিলাভ অসতর্ক মুষিকের। শিকারাভিযানে উচ্ছসিত, মাছরাঙার সাতরঙা পাখা। হে বন্ধুবর, চেয়ে দেখো, চেয়ে দেখো। চেয়ে দেখো, পুরাতনের নিভুনিভু চিতা। সেই বভ্রু অঙ্গারেই উনুন ধরছে গৃহস্থের। পড়শিরা ছড়িয়ে দিচ্ছে কুলকুচি করা আতর আর নেভা আগুনের ধোঁয়ায় ঢেকে যাচ্ছে সমগ্র পথঘাট। ...