টাইম ম্যানেজমেন্ট

কিছু কিছু ফোন নম্বর, শত চেষ্টা করেও মন থেকে ডিলিট করা যায় না কোনোদিনই। সেরকমই একটা নম্বর যখন নীলাঞ্জনের ফোনে জ্বলে উঠে ওর ধুকপুকুনিটা হঠাৎ বাড়িয়ে দিল, ইডেন হসপিটালের বারান্দায় তখন সবে টাটকা সন্ধ্যে। আট'বছর পর এই ফোনের কারণ ভাবতে ভাবতে ফোনটা কেটে গেল। কয়েক মুহুর্ত পরে আবার এল। সেই নম্বর। সাহস করে কানে ধরতেই, সেই চিরচেনা গলা ভেসে এলো। 'ডক্টর ঘোষ?' উত্তর দেওয়াটা সহজ হলেও উত্তরটা সহজ ছিল না। নীলাঞ্জন নির্বাক হয়ে রইল। ঢোঁক গিলে ধুকপুকুনি কমানোর চেষ্টা করতে লাগল। পাছে ওদিক থেকে শুনতে পাওয়া যায়। 'চিনতে পারছেন?' নীরবতা ভেঙ্গে আবার প্রশ্ন। অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে সে বলল, পারছি। 'কী করে!' 'গলা শুনে। ন্যাচারালি।' 'সেই.. ডক্টরের মেমোরী আফ্টার অল!' নীলাঞ্জন চুপ করে রইল। একটা হলুদ আলো বারান্দা দিয়ে গড়িয়ে ঠিক ওর পায়ের কাছে এসে থমকেছে। নীচে রোগীর পরিবারবর্গের ভীড়। সেদিকে তাকিয়ে সে বলল, চেনা চেনা তো অনেক কিছুই লাগে; চেনা যায় না তো শেষমেশ! 'উফ্.. এগেইন! লেটস্ কাম টু দ্যা পয়েন্ট' দ্রুততায় পেশাদারিত্বের ছাপ। নীলাঞ্জন জবাব ...